Random Writing: কিশোরগঞ্জের লোককথা


এক দেশে ছিল এক রাজা, তার এক ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়ের বয়স ১৪ কি ১৫।

রাজার মেয়েকে পড়াত এক মোল্লা, তার হঠাত ঐ মেয়ের উপর কুনজর পরল। তাই সে রাজা আর তার ছেলেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বলল সুইজারল্যান্ড যেতে ঘুরতে। মেয়েকে রেখে যেতে চায় না রাজা। মোল্লা বলে আরে ওকে দেখার জন্য তো আমি এ কাফি।

তো রাজা মেয়েকে বাড়ির দাসীদের কাছে রেখেই গেল সুইজারল্যান্ডে। মোল্লা এই ফাঁকে মেয়েকে ফেসবুকে অ্যাড করে। হঠাত হঠাত পোক করে। মেয়ের সব ছবিতে লাইক দেয়।

মেয়ে ভাবে ঘটনা কি? মোল্লা এমন ক্যান? আবার দেখে মোল্লা ভণ্ড একটু, ১৮+ জোকস এও লাইক দেয়।

এর পরে যেদিন মোল্লা মেয়েকে পড়াতে আসে, সে এসে পড়ানোর মাঝখানে হঠাত মেয়ের সাথে ফেসবুক নিয়ে গল্প শুরু করে। বলতে থাকে কত অচেনা মেয়ে তাকে অ্যাড করে। ও অনেক পপুলার এই সেই।

মেয়ে টের পায় মোল্লার মতলব ভালো না। কেমন করে জানি তাকায় ওর দিকে। তাই সে উজির কে বলে রাখে মোল্লা কে আর আসতে না দিতে।

আর যদি মোল্লা জোর করে ধুকতে চায় তাহলে ওর নামে ব্লগ লিখে পচাইতে বলে উজিরকে। পরেরদিন মোল্লা অনেক জোর করেও ধুকতে পারে না। উলটা ওর নামে ব্লগ খুলসে দেখে ওর অন্যান্য টিউশনি ও চলে যায়। সব গার্জিয়ানরা ওকে সন্দেহ করে।

রাগ করে মোল্লা রাজা কে স্কাইপ এ কল দেয়। জানায় যে আপনার মেয়ে তো অনেক অচেনা লোকের সাথে খাতির করে বেড়ায় ফেসবুকে। সে খবর কি রাখেন?

রাজা রাগ করে মন্ত্রি কে পাঠায় যেন মেয়েকে কেটে টুকরো করে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়। মন্ত্রি মারতে গিয়ে দেখে মেয়ে ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা খেলতেসে। মন্ত্রি বুঝে এই মেয়ে খারাপ হতেই পারে না। নিশ্চয়ই মোল্লা কথা লাগাইসে।

কিন্তু রাজা তো তার কথা শুনবে না। তাই মন্ত্রি মেয়েটাকে নিয়ে দুরের এক বনে রেখে আসে।

বলে যে এখন থেকে ওইখানের থাকতে হবে। শুধু একটা ডেল এর ল্যাপটপ আর বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু দিয়ে আসে, আর হ্যাঁ কিউবি মডেম ও।

রাজার মেয়ে তাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, "floating on jamuna river... feeling tukratukra"

এই দেখে রাজা বুঝে যে কাজ হইসে মেয়ে নাই। ওর সম্মান ও আর যাবে না।

কিন্তু আসলে মেয়ে একটা ফেক আইডি খুলে নীলপরী নীলাঞ্জনা নাম দিয়ে। ওইখানে আরেক রাজার ছেলের সাথে তার নিয়মিত কথা হয়। ওই রাজার ছেলে পড়ে NSU তে। ছেলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। নীলপরীর তাতে অসম্মতি নাই। ছেলে তাই কয়দিন পরে বন থেকে তাকে নিয়ে আসে, বিয়ে করে, এবং অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।

শেষ